Breaking

Monday, February 12, 2018

মুখোশ থ্রিলার চটি সিরিজ পার্ট ১.৩

শুরু থেকে না পড়ে থাকলে, পুর্বের পার্ট গুলো পড়ে নিন পার্ট-১ পার্ট-২

আমি হেঁটেই হোটেলে ফিরব। কুন্তল একটা বাস ধরবে। আমি ওর সাথেই বেড়িয়ে এসেছি। রাস্তায় বেড়িয়ে ও যেন কেমন একটা মুক্তি লাভের দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বুঝলাম এই বেচারার ওপর দিয়ে আজ র্যাগিঙ্গের নামে অনেক ঝড় ঝাঁপটা বয়ে গেছে। তবে কয়েকজনের মধ্যে দেখলাম বেশ ঢিলেঢালা ভাব। পরে অবশ্য এই দুরকম অবস্থার কারণ বুঝতে পেরেছিলাম। যাই হোক, রাস্তায় বেড়িয়ে ও আমাকে বলল “দুপুর থেকে কিছু খাওয়া হয়েছে?” বললাম “না।” ও কলেজের গেট থেকে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে কাঁধের শস্তা ব্যাগটা খুলে একটা টিফিন বক্স বের করল। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়েই বক্সটা খুলে ফেলল। দেখলাম ভেতরে চারটে হাতে করা রুটি আর তার সাথে একটা বেগুন ভাজা আর অল্প আলুর তরকারি। টিফিন বক্সটা খুলতেই একটা বাসী খাবারের গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা মারল। ও এক টুকরো মুখে পুড়ে দিয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল “যাক নষ্ট হয়ে যায় নি। যা গরম পড়েছে। ভাগ্যিস ফ্রেশ ফ্রেশ বানিয়ে দিয়েছিল। এই নে…সরি নাও...” আমার দিকে টিফিন বাক্সটা এগিয়ে দিল। আমি ওকে বললাম “না তুইই ঠিক আছে। তুমিতে আমারও আপত্তি, তাও যখন একই ক্লাসে পড়ি। কিন্তু তুই এতক্ষন খাস নি কেন?” বলল “র্যাগিঙ্গের সময় খাওয়া যায় নাকি?

মুখোশ বাংলা থ্রিলার চটি সিরিজ


আর তাছাড়া চারপাশে সবাই এমন সব টিফিন নিয়ে এসেছে, মানে বুঝতেই তো পারছিস, পিজ্জা, চাউমিন, ফ্রাইড রাইস, আরও কত কি। সেখানে বসে বাড়ির রুটি খেতে একটু লজ্জা লাগে আর কি?” একটু বিরক্ত হয়েই বললাম “তাতে কি হয়েছে? এটাও তো খাবার। খেয়ে দেখলে হয়ত দেখা যাবে এতে যা ফুড ভ্যালু আছে সেটা ওই খাবার গুলোতে নেই। আর সবাই নিশ্চই ওই রকম দামী দামী খাবার নিয়ে আসেনি। “ কথাটা মুখে বললাম বটে তবে আমি জানি ও কি বলতে চেয়েছে। এটাকে বলে কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্স যা বুঝেছি তিন ধরণের। এক নিজেকে ছোট বা গরীব ভাবার কমপ্লেক্স, দুই, নিজেকে অন্যের থেকে বড় ভাবার কমপ্লেক্স, আর তিন কোনও কিছুই গা না করার কমপ্লেক্স। আমি অবশ্য নিজে তৃতীয় দলে পড়ি কারণ আমার কারোর কোনও কিছুতেই কিছু এসে যায় না। আমি আছি আমার মতন। কোথাও ডাল গললে ভালো, আর না গললে অপেক্ষা করব পরের বার ডাল গলানোর জন্য। বললাম “ট্রেনে অনেক খেয়েছি। তুই ই খেয়ে নে। তোর মা এত কষ্ট করে বানিয়েছে।” ও বোধহয় ভাবতে পারে যে আমি এই সাধারণ খাবার খেতে চাইছি না, তাই দুই টুকরো রুটি আর একটু আলুর তরকারি মুখে দিয়ে বললাম “কাল থেকে আর বাসী করিস না। আমাকে এখানে রেঁধে খাওয়ানোর মতন কেউ নেই। এইভাবে খাবার নষ্ট করার থেকে আমাকে দিয়ে দিস। আমি পিজ্জার পাশের টেবিলে বসে আনন্দে খেয়ে নেব তোর টিফিন। “ বাকিটা ও খেয়ে নিল চক্ষের নিমেষে, বুঝলাম ওর খুব ক্ষিদে পেয়েছিল, শুধু ভদ্রতার খাতিরে আমাকে অফার করেছিল।
একটু ধীরে সুস্থে বললাম “তোর বাড়ি এখান থেকে কত দূর?” বলল “এই তো বাস ধরে দুটো স্টপ। কেন বল তো?” একটু ভেবে বললাম “একটা অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করলাম আজ। “ দেখলাম ও জিজ্ঞাসু চোখে আমার দিকে চেয়ে আছে। হেঁসে বললাম “আরে দূর তেমন কিছু নয়… মনে হয় কোইন্সিডেন্স। তবু জিজ্ঞেস করছি, তোর দিদির কি যেন নাম বললি তখন?” বলল “মালিনী।” বললাম “বিয়ের পর তো আর মালিনী রাহা নেই? না কি আছে?” ও হেঁসে বলল “আরে, এই কথা , বিয়ের পর মালিনী সরকার।” আমি হেঁসেই ফেললাম। ও যেন একটু ঘাবড়ে গেল। বললাম “তোর দিদি কি বাই এনি চান্স প্যারাডাইস ইনন এ চাকরি করে?” ও যেন অবিশ্বাসের শেষ সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে। বললাম “তোর দিদির কি নাইট শিফট থাকে?” ওর বিস্ময় আর এক ধাপ উঠে গেল। বুঝলাম ওর মুখ দিয়ে কথাই বেরোচ্ছে না। বললাম “এখন কি বাড়ি ফিরবি? না কি দিদির সাথে দেখা করে তবে ফিরবি? তোর দিদির শিফট শুরু হয় কখন?” আমতা আমতা করে বলল “রাত ৮ টা থেকে ভোর ৬ টা। তবে, পরের শিফটের লোক না আসা অব্দি ওয়েট করতে হয়। তবে নেক্সট উইকে দিদির নাইট শিফট নেই। এক সপ্তাহ করে থাকে।” বললাম “তো এই সপ্তাহে তো আছে। তো যাবি না কি দেখা করতে?” ও একটু অবিশ্বাসের সুরেই বলল “দূর জানি না তুই আমার দিদিকে কি ভাবে চিনিস। তবে হোটেলটা খুব একটা দূরে নয়। তবে সেখানে গেলে ডিউটির সময় বাড়ির লোক অ্যাঁলাউ করে না।” বললাম “ চল চল, কোথাও গিয়ে বসে একটু চা খাওয়া যাক। আমারও একটু ক্ষিদে পেয়েছে। একটু ঝালমুড়ি গোছের কিছু খাওয়া যাক। তারপর এদিকে ওদিক একটু ঘুরে আটটার দিকে হোটেলে ঢুকব।” ও বলল “তোকে হোটেলে ঢুকতে দেবে? হোটেলেটা নেহাত ছোট খাটো ধর্মশালা নয়। “ ওহ এইবার বুঝলাম, সেই যে বলেছিলাম ধর্মশালায় মাল রেখে এসেছি, কুন্তল এখনও সেখানেই পড়ে আছে। ওর ভুল ভাঙানোর কোনও মানে হয় না এখন। কুন্তল ছেলেটা ভীষণই যে সরল সেটা ওর সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলেই বুঝতে পারলাম। ওর দিদির পারিবারিক অশান্তির কথাও আমাকে বলে দিল। ওর জামাইবাবু কাথিতে পোস্টেড। বিমা কোম্পানির এজেন্ট। অনেকবার ট্র্যান্সফারের জন্য বলেছে কিন্তু পায় নি। সপ্তাহে শনিবার করে আসে, দিয়ে সোমবার ফিরে যায়। কিন্তু সেই সময় যদি ওর দিদির নাইট শিফট চলে, মানে যেটা এক সপ্তাহ অন্তর চলে, তাহলে বাড়িতে ভীষণ অশান্তি হয়। কারণ সেই সময় দিদি জামাই বাবুকে সময় দিতে পারে না। মনে মনে হেঁসে ফেললাম, সপ্তাহে দুই দিন চোদার জন্য পায়, আর সেই দুদিন যদি বউ বাড়ি না থাকে তো হতাশা আসতে বাধ্য। বললাম “হুম বুঝলাম। কিন্তু তোর দিদি তো কাথিতে গিয়ে থাকতে পারে।” ও গলা নামিয়ে বলল “জামাই বাবু খুব সিনিওর কিছু নয়। জুনিয়র এজেন্টের কাজ করে। দিদির এখানে একটা ফিক্সড ইনকাম আছে। যেই মাসে জামাই বাবুর তেমন ক্লায়েন্ট জোটে না তখন বাড়িতে ভালোই টানাটানি চলে। আর কাথিতে তো জামাইবাবু একটা মেসে থাকে। দিদি থাকবে কোথায়। এখানে দিদি কোনও মতে একা চালিয়ে নেয় একটা ছোট মেয়েদের মেসে থেকে। বিয়ের পর তো আর বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে পারে না। “ বুঝলাম মেয়েটার সম্মান বোধ ভালোই। ও কেমন যেন একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে ওর দিদির কথা বলতে বলতে, তার পর একটু দুঃখী দুঃখী গলায় বলল “ এখন ওদের সম্পর্ক ভালো নয়। ওদের কথা চিন্তা করে আমার বাবার একবার হার্ট অ্যাঁটাক হয়ে গেছে। জামাইবাবু অলরেডি ডিভোর্সের ভয় দেখিয়েছে। বুঝতেই পারছিস আমাদের মতন ছাপোষা পরিবারে এইসব শুনলে কত ভয় পেয়ে যাবে। তবে আমি জানি তেমন কিছু হবে না। কারণ দিদিকে খোরপোষ দেওয়ার মতন টাকা জামাইবাবুর নেই। আর তাছাড়া দিদি অনেকবার জামাইবাবুকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। তবে হ্যাঁ, দিদি, খুব মন খারাপ করে থাকে সব সময়। বাড়িতে অশান্তি থাকলে আর কি করবে বল? সারা সপ্তাহ বরকে কাছে পায় না, আর যেদিন পায় সেদিন নাইট শিফট থাকুক না থাকুক অশান্তি লেগেই আছে। “ একটু থেমে আমার দিকে তাকিয়ে বলল “এই তুই কিন্তু কাউকে এইসব কথা বলতে যাস না। আর দিদিকে তুই চিনিস কিভাবে সেটাই তো বললি না। আর দিদির সাথে দেখা করতে হলে ওই যে বললাম হোটেলের সিকিউরিটির ঝামেলা। সেটা ভেবে দেখেছিস? “ আবারও আমি এই কথার কোনও উত্তর দিলাম না। পকেট থেকে ক্লাসিক সিগারেটের প্যাকেটটা বের করে ওর সামনে এগিয়ে ধরলাম। ও সিগারেট খায় না। সুতরাং আমি নিজেই একটা লম্বা সিগারেট ঠোঁটে ধরে তাতে অগ্নি সংযোগ করে একটা সজোরে টান মারলাম। বললাম “সে দেখা যাবে। চাইলে আমি যেতে পারি না এমন জায়গা খুব কম আছে। তবু তোর দিদির যখন ব্যাপার তখন আজই একটা চেষ্টা দেখতে হচ্ছে, তবে রেখে ঢেকে আর হোটেলের সব নিয়ম কানুন মেনে। “

কলেজ থেকে বেড়িয়ে যে দিকে হাঁটলে হোটেলে পৌঁছানো যায় আমরা তার উল্টো দিকে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দূর এগিয়ে এসেছি। আমি নিজে একা থাকলে বোধহয় হোটেলে পৌঁছাতে খুব বেশী সময় লাগতো না, কিন্তু কুন্তল ওর ভারী শরীরটা নিয়ে যে স্পীডে হাঁটছে, তাতে আর বেশী এগোনো ভালো নয়। এখনই উল্টো দিকে হাঁটা দেওয়া ভালো। আমি মুখ বুজে হোটেলের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। ও আমার পিছু নিল। বললাম “একটা জিনিস বুঝতে পারলাম না। (একটু থেমে বললাম) তবে কিছু মনে করিস না তোর পার্সোনাল ব্যাপারে নাক গলাচ্ছি বলে। আমার আসলে এইরকম মানুষ স্টাডি করতে বেশ ভালো লাগে। তাই কৌতূহল আর কি। তোর জায়গায় অন্য কেউ যদি তার প্রবলেম শেয়ার করত, তাহলেও আমি খুঁটিনাটি জানতে চাইতাম। তবে আমার প্রশ্নটা খুব সাধারণ। তুই বললি তোর জামাইবাবু সপ্তাহে এক দিন আসে, আর তোর দিদি এখানে থাকে মেসে। আর তোর বাড়ির সাথে তোর জামাইবাবুর সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাহলে ওই দুদিন এসে তোর জামাইবাবু থাকে কোথায়? এখানে ওর নিজের বাড়ি থাকলে তোর দিদিকে নিশ্চই এইভাবে মেসে পড়ে থাকতে হত না। “ ও কিছুক্ষণ কি বলবে ভেবে পেল না। তারপর অনেকক্ষণ ভেবে শুরু করল। বুঝলাম নিজের মনের মধ্যে চিন্তা ভাবনাগুলো কে গুছিয়ে নিল। “ দেখ, এটা যেন ক্লাসের কেউ না জানে। তবে জানাজানি হবেই। সে তুই বলিস বা নাই বলিস...” আমি চুপ করে রইলাম। ও বলল “ দেখ জামাইবাবুর এখানে একটা বাড়ি আছে। মানে জয়েন্ট ফ্যামিলি। ওর এক জেঠু আর ওর নামে বাড়ি। মানে ওর বাবা মারা যাবার পর বাড়িটা হয়েছে ওর নামে। কিন্তু এখানে সমস্যা আছে। ওর বাবার একটা ব্যবসা ছিল, সেটায় লোকসান হওয়ায়, ওর বাবা ওর জেঠুর কাছ থেকে অনেক টাকা ধার করেছিল। ওর বাবা মারা যাবার পর, ও নিজেও বেশ কয়েকদিন ব্যবসাটা চালানোর চেষ্টা করেছিল কারণ ধার দেনা ভালোই ছিল। তখন ও নিজেও ওর জেঠুর কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু এইবার ওর জেঠু ওকে দিয়ে লেখা পড়া করিয়ে নিয়েছিল। ব্যাপারটা এরকম, ওর ভাগের সম্পত্তিটা জেঠু লিখিয়ে নিয়েছে। আমি আইনি মার প্যাঁচ জানি না। তবে এইটুকু জানি যে, এখনও আইনত ওর জেঠু বাড়িটা পায় নি। যদিও বিস্তর ধার বাকি। আর সেই জন্যই তো জামাই বাবুর ইনকামের বেশির ভাগটাই ওই ধার শোধে চলে যায়। আর ক্লায়েন্ট না জুটলে তো বিপদ, তখন দিদির কাছে এসে হাত পাতে। সমস্যা হল, ওই ভদ্রলোক খুব সুবিধের নয়। আইনের দিক থেকে এখনও বাড়ির মালিকানা পায় নি বটে, কারণ এসব হতে হতে অনেক সময় লাগে, আর জামাইবাবু কিছু কিছু টাকা করে এখনও শোধ করে যাচ্ছে। কিন্তু পাড়ায় লোক জানাজানি হয়ে গেছে। একবার দুই একজন গুণ্ডার মতন ছেলে এসে ধার শোধ করার জন্য শাসিয়েও গেছে। “ বললাম “বলিস কি?” বলল “নয় তো আর কি বলছি। জামাই বাবু নিজে এসেই ওই বাড়িতে থাকতে চায় না। গুণ্ডার ভয়। তারপর সারাক্ষন ওই দিক থেকে ওর জেঠুর বাড়ির লোকেরা যাতা বলে যাচ্ছে। এই পরিবেশে থাকা যায়? আর আমার জামাইবাবু যখন এখানে নেই তখন ওই পরিবেশে দিদি একা গিয়ে থাকবে কি করে্? আর তাছাড়া ওর জেঠুর সল্ট লেকে দু দুটো বড় বড় দোকান আছে ওষুধের। মাস গেলে ভালো লাভ। অনেক বড় বড় লোক চেনা শুনা আছে। বুঝতেই পারছিস যে কি বিপদের মধ্যে আছে। “ বললাম “ভ্যালিড পয়েন্ট। কিন্তু তাহলে তোর জামাইবাবু এসে থাকে কোথায়? আর হ্যাঁ, তুই বেকারই ভয় পাচ্ছিস, ক্লাসের কাউকে আমি এই কথা বলতেই বা যাব কেন?” বলল “ আমাদের ডান দিকে একটা বেঞ্চ পেছনে একটা ছেলে বসেছিল দেখেছিস?” আমি চোখ বন্ধ করে একবার শুধু মাথার ভেতরটা দেখে নিলাম। বললাম “ফর্সা না গায়ের রঙ চাপা?” বলল “ চাপা।” বললাম “ সুনীল সরকার। বাবার নাম প্রশান্ত সরকার, মায়ের নাম তনিমা সরকার। বাবার ওষুধের বিজনেস আছে…আর তোর দিদি হল গিয়ে মালিনী সরকার...হুম এইবার দুইয়ে দুইয়ে চার করতে পারছি।” ও বলল “বাপরে বাপ, তোর মেমোরি তো হেভি শার্প। আমি তো এখন কারোর নাম বলতেই পারব না। ওকে চিনতাম বলে জানি।” আমি একটু অন্যমনস্ক ভাবেই বললাম “হুম। মেমোরি ব্যাপারটা অভ্যাসের ব্যাপার। সেটা ছাড়। তো তাহলে এখন তোর জামাইবাবু এসে থাকে কোথায়?” বলল “ সেই কথাই তো বলছি এইবার। দিদি নিজের ম্যানেজারকে বলে সপ্তাহে দুটো দিন একটা রুমের ব্যবস্থা করে ওই হোটেলেই। জামাইবাবু এসে ওখানেই থাকে। তবে জানিস তো…” আমি ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম “ এরকম একটা হোটেলে তোর দিদিকে পার্সোনাল ইউসের জন্য একটা ম্যানেজার ঘর দেবেই বা কেন সেটা নিয়েই সন্দেহ... তাই তো? তোর জামাইবাবু ভাবে যে ওই ম্যানেজার আর তোর দিদির মধ্যে কিছু একটা আছে। আর যদি খুব ভুল না করি সেটাও একটা অশান্তির কারণ। আচ্ছা সত্যিই কি তোর দিদি আর ওই ম্যানেজারের মধ্যে কিছু আছে?” এক দিকে ও যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল কারণ আমি ওর গোপন জায়গাটা অনুমান করে নিজেই বুঝে নিলাম আর ওকে ওই নিয়ে কিছু বলতে হল না, কিন্তু অন্য দিকে এরকম সরাসরি একটা অশ্লীল প্রশ্ন শুনে বোধহয় ব্যথিত হয়েছে। ঘাবড়েও গেছে। আমি আশ্বাসের স্বরে বললাম “দেখ যদি থেকেও থাকে তাহলেও আমি কিছু ভাবব না। কারণ এখানে তোর দিদির আমি কোনও দোষ দেখছি না। তবে যা মনে হচ্ছে না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্ষেত্রে এরকম ভাবে রুম ইউস করতে দিচ্ছে কেন? আর সেক্ষেত্রে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, যদি সেই সপ্তাহের শেষে কোনও ঘর খালি না থাকে তো কি হবে?” ও গলা নামিয়ে বলল “ আমি তোর কথায় কিছু মনে করিনি। কারণ এইটা প্রথম বার শুনে আমার বাবাও প্রচুর চেচিয়েছিল। আর ওই প্রশান্ত সরকারের বাড়ি থেকেও আমার দিদির চরিত্র নিয়ে অনেক কথা শোনানো হয়ে গেছে। তবে, আমি জানি আমার দিদি তেমন কিছু করে নি কোনও দিন। যদিও জামাই বাবু দিদিকে সন্দেহ করে। তবে আসল কথাটা হল, ম্যানাজারের নিজের জন্য বরাদ্দ একটা ঘর আছে। ম্যানেজারের অনেক বয়স হয়েছে। ওর বাড়ি হুগলীতে। ও নিজেও শুধু উইক এন্ডে ওখানে যায়। তাই ওর জন্য বরাদ্দ করা ঘরে ওই উইক এন্ডে আমার দিদি আর জামাইবাবু থাকে। তবে দিদির ডিউটি থাকলে অন্য ব্যাপার। তখন শুধু জামাইবাবু থাকে। ডিউটি অফ হলে দিদিও... “ হোটেল এখনও আমাদের থেকে অনেকটা দূরে। তবু বাকি রাস্তাটা আমি আর কোনও কথা বললাম না। হোটেলের একদম সামনে এসে ও আমাকে ফিসফিস করে বলল “ শোন এত কথা যে আমি তোকে বলেছি সেটা কখনও কাউকে বলবি না। কারোর সামনে না। তবে ওই সুনীলের এখানে অনেকগুলো বন্ধু জুটে গেছে। সব বড়লোক বাপের ছেলে। আজ সারা দিন ও এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল যে কি বলব। আবার র্যাগিং করতে যে সিনিওর গুলো এসেছিল তাদেররও বোধহয় কয়েক জন কে ও বা ওরা চেনে। আমাদের অনেক র্যাগিং হয়েছে। ওদের তেমন কিছুই হয় নি। আমি সিওর যে ও আমার দিদির নামে কলেজে কেচ্ছা রটাবে। তখন কি করে যে আমি কাউকে মুখ দেখাব কে জানে। “ আমি ওর দিকে ফিরে বললাম “ সে যেদিন কেচ্ছা রটাবে সেদিন দেখা যাবে। আগে থেকে এত ভেবে লাভ নেই। আমি তো আছি। আর বিশ্বাস কর আমি যে ধাতুতে গড়া, সেটা কেমিস্ট্রিতে পি এইচ ডি করা নোবেল বিজয়ীরও অজানা । হয়ত দেখ এরকম করার সাহসই করবে না কেউ যত দিন আমি এখানে আছি। অবশ্য আমি চলে যাওয়ার পর্…(ও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম) এখন তুই ভেতরে যা। কেউ ধরলে বলবি আমার বন্ধুর সাথে এসেছি। দিদির সাথে দেখা করতে আসিনি। সিগারেট কিনে নিয়ে আসছি। “ আমি আর দাঁড়ালাম না। এত কমপ্লেক্সের চাপে বেচারার মেরুদণ্ড একদম ভেঙ্গে গেছে বলে বোধ হচ্ছে। একটু এগিয়ে দিয়ে দেখাই যাক না কেমন রেজাল্ট করে। আমি সিগারেটের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দু প্যাকেট ক্লাসিক কিনে গেটের দিকে হাঁটা দিলাম। এই দোকানটা সকালে বন্ধ ছিল। পরে জেনেছিলাম যে এর মালিক নাকি নিজে চাকরি করে, চাকরি ছুটির পর বিকেলে এসে দোকান দেয়।

ছোট মোবাইলে দেখে নিলাম সময় আটটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি। গেটে পৌঁছে বুঝতে পারলাম যে কুন্তলকে সিকিউরিটি আটকেছে। আর সিকিউরিটির সামনে দাঁড়িয়ে ও যেন কাঁপছে। অবশ্য আমাকে আসতে দেখেই সিকিউরিটি স্যালুট ঠুকল। এ আমার দেখা সকালের সেই সিকিউরিটি। সিকিউরিটির সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরাতে ধরাতে জিজ্ঞেস করলাম “ ওকে ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ?” লোকটা বলল “ দেখুন, ও আগেও এখানে এসেছে ওই মালিনী ম্যাডামের সাথে দেখা করতে। কাজের সময় এইসব হলে খুব সমস্যা হয়। “ আমি ওকে থামার সুযোগ না দিয়েই বললাম “ আজ ও কি বলেছিল? মানে এখানে আসার কারণ?” বলল “ বলেছে একজন বন্ধুর সাথে এসেছে, দিদির সাথে দেখা করতে আসেনি।” আমি সাথে সাথে তীরের মতন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম “আপনাদের কোনও এমপ্লয়ীর আত্মীয় বা আত্মীয়া যদি কোনও গেস্টের ফ্রেন্ড হয় আর সে যদি সেই গেস্টের সাথে দেখা করতে আসে তখনও কি আপনারা তাকে ঢুকতে দেবেন না? সেক্ষেত্রে আমার অভিযোগ হল, আপনারা আপনাদের গেস্টদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। “ লোকটা একটা হাঁটুর বয়সী ছেলের কাছ থেকে এহেন প্রশ্ন শুনে একটু অপ্রস্তুত হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি। ও আমতা আমতা করে বলল “ না তেমন আমরা করি না।” আমি সাথে সাথে আবার জিজ্ঞেস করলাম “ এই ছেলেটার নাম কুন্তল রাহা। ও এসেছে সংকেত রায়ের সাথে দেখা করতে। এতে মালিনী সরকার আসছে কোথা থেকে? আপনারা কি আমার মতামত টা ভেরিফাই করেছেন? ” ওনার আমতা আমতা ভাবটা বেড়েই চলেছে। “না মানে। আমরা ঢুকতে দিতাম। কিন্তু তার আগে ভেরিফাই করতাম যে সত্যি আপনার সাথে দেখা করতে এসেছে কি না।” আমার পাল্টা প্রশ্ন “ সেক্ষেত্রে আপনাদের কাছে আমার মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। ওনাকে ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে এইভাবে রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণ? ভেতরে নিয়ে গিয়ে রিসেপশনে যে আছে তাকে দিয়ে, এমনকি মালিনী সরকার থাকলে তাকে দিয়েও কি ব্যাপারটা ভেরিফাই করা যেত না? ” ও আর কিছুই বলতে পারছে না। বলে চললাম “ দেখুন মিস্টার, আমার গেস্টের অপমান আমার অপমান বলেই আমি ধরি। ম্যানেজারকে গিয়ে এই ইনসাল্টের ব্যাপারে আমি অভিযোগ জানাব। আপনাদের খাতায় যে গেস্টরা এসে ভুরি ভুরি তথ্য ফিল আপ করে তার মধ্যে মোবাইল নম্বরও থাকে। একটু চেষ্টা করলেই এই সব অপমানজনক পরিস্থিতি থেকে আপনিও মুক্তি পেতে পারেন আর কুন্তলের মতন লোকেরাও মুক্তি পেতে পারে। আসছি।” কুন্তলকে নিয়ে আমি ভেতরে ঢুকে গেলাম। নাহ, ম্যানেজারের কাছে গিয়ে এই গরীব লোকটার ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর কোনও ইচ্ছেই নেই আমার, কিন্তু তাও এই ধরণের ব্যবহার বদলানো উচিৎ। আজকে যা হল তার ভয়ে যদি একটু মানুষ হয় আর কি। সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হল এই যে ও জানে মালিনীর পরিবারের অবস্থা কেমন, দুজনের যে অবস্থা মোটামুটি প্রায় একই সেটা অজানা থাকার কথা নয়, কারণ কার্যক্ষেত্রে সবাই সবার হাঁড়ির খবর পেয়েই যায়। কিন্তু অদ্ভুত হল তবুও কুন্তলের সাথে এহেন ব্যবহার করতে ওর কোনও দ্বিধা বোধ হয় না। অবশ্য হতে পারে আগে হয়ত কুন্তলকে ঢুকতে দিয়ে ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে কড়া কড়া কথা শুনতে হয়েছে। যাই হোক এ নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই। রিসেপশনে এখন অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে। আর যে মেয়েটি ডেস্কের পিছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাঁসি মুখে সবার সমস্যা সমাধান করছে সে আমার প্রিয় মালিনী মাগী নয়। মনে মনে মেয়েদের ব্যাপারে কথা বললে আমি মাগী ইত্যাদি বলে থাকি। কিন্তু সামনে যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানি না। আমি ওই মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে কোনও রকম ভনিতা না করে বললাম “১০৭”। কি নিয়ে বললাম “চল।” তারপর মেয়েটার দিকে ঘুরে বললাম “ মালিনী এলে যেন একবার আমার রুমে কল করা হয়। বলে দেবেন। বিশেষ দরকারি। “ আমি জানি শুধু মেয়েটা কেন চারপাশের সব বেয়ারাই বুঝেছে কেন কল করতে বলেছি, কারণ কুন্তলকে এখানকার সবাই চেনে। কিন্তু কিছু করতে পারবে না এই ক্ষেত্রে, অন্তত আমি যত দিন এখানে আছি। হ্যাঁ মেয়েটার নাম ওর বুকের ওপর বাঁদিকে আটকানো ব্যাচ থেকে দেখে নিয়েছি। নাম মেঘনা। বয়স আন্দাজ...। আর বলে কি হবে। এখন আমার মাথায় অনেক কিছু ঘুরছে। তবে হোটেলের এই রিসেপশনে বসা মাগীগুলোর কথা বলতে গেলে, এখন শুধুই মালিনী। মেয়েটার মুখটা সত্যি খুব মিষ্টি ছিল। এখন ওর দুঃখের কথা শুনে দুটো চিন্তা মাথায় এসেছে। মেয়েটা সত্যি ভালো, আর তাই মেয়েটাকে কেমন যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও নিজের করে পেতে ইচ্ছে হচ্ছে। না না, ভুল কিছু বলছি না। কেন? ভালো মেয়েদের নিজের করে পেতে ইচ্ছে করতে পারে না? এতে খারাপের কি হল। সে হোক না যৌন ক্ষুদা। কিন্তু তাও কিছুক্ষণ তো কাছে পাব। আর দুই, মেয়েটার লাইফে অনেক প্রবলেম। এইসব ক্ষেত্রে মেয়েদের যদি একটু অমৃতের বা বৈচিত্রের স্বাদ দেওয়া যায় তো অনেক সময় মেয়েরা ঢলে পড়ে। তবে ভালো কথা, যদি বলি সব মেয়েদের ক্ষেত্রেই এটা সত্যি তাহলে সেটা তস্য বোকামি হবে। কারণ সাংসারিক সমস্যা থেকে অনেক মেয়ে খিটখিটে হয়ে যায়, কেউ কেউ আবার পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে যায়, আবার “অনেক অনেক” মেয়ে এমনও আছে যারা যতই সমস্যায় থাকুক না কেন, কোনও অবস্থাতেই পর পুরুষের দিকে ঝুঁকবে না, তা সে যতই সুখের হাতছানি থাকুক না কেন উল্টো দিকে। কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি। পয়সা তো কিছু যাচ্ছে না। ক্ষতিও কিছু নেই। অবশ্য কুন্তল যদি ওর দিদির ব্যাপারে আমার নোংরা চিন্তাগুলো পড়তে পারে তো আজই সম্পর্ক ছেদ হয়ে যাবে। তবে মনে হয় না ও কিছু বুঝতে পেরেছে।

ঘরে গিয়ে বসে চায়ের অর্ডার দেওয়া হল। কুন্তল মদও খায় না। আমি অবশ্য চারটে স্ট্রং বিয়ারের বোতলের অর্ডার দিলাম। দাম বড্ড চড়া। বাইরে থেকে কিনে আনলে অনেক শস্তা পড়ে। কিন্তু এখন কিছু করার নেই। কোথায় মদের দোকান সেটা কাল খুঁজে বার করতে হবে। একা থাকলে আমি প্রায় রোজই গলা ভেজাই। আমি একটা ব্যাপারে খুশি যে ধর্মশালার ঢপ আর এই হোটেলের ব্যাপারে ও আর কোনও বোকা বোকা প্রশ্ন করেনি। যা বোঝার বুঝে চুপ মেরে গেছে। চা এলো। সাথে এলো স্ন্যাক্স। আর আমার বিয়ার। বিয়ারে দুটো চুমুক দিয়েছি কি দেই নি, এমন সময় ঘরের ফোনটা বেজে উঠল। তুলতেই ওপার থেকে গলা ভেসে এলো “রিসেপশন থেকে মালিনী কথা বলছি। আমাকে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। কি ব্যাপার জানতে পারি?” বললাম “ ঘরে ছারপোকা ঢুকেছে। নাম কুন্তল। যদি ইচ্ছে হয় আসতে পারেন। নইলে কাটিয়ে দিন। “ ও দিক থেকে উত্তর এলো “ ধন্যবাদ যোগাযোগ করার জন্য। দেখছি কিছু করা যায় কি না। তবে সময় লাগবে। একটু অপেক্ষা করতে হবে।” বললাম “ নো ইস্যু।” কুন্তলের উশখুশ ভাব দেখে ওকে বলে দিলাম “আসবে। একটু পরে। বাই দা ওয়ে। এখান দিয়ে লাস্ট বাস যায় কখন?” ও বলল সে রাত বারোটায়ও বাস পাওয়া যায়। বললাম “তাহলে বসে থাক।” ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই অবশ্য একটা জিনিস আমার চোখ এড়ায় নি। ঘরের এক কোনায় পরিষ্কার মেঝের উপর দুটো গোলাপি রঙের ক্যাম্বিসের ব্যাগ রাখা আছে। আমি কুন্তল কে বললাম “তোর তো স্মার্ট ফোন আছে। একটা দুজনের সেলফি তুলে আমাকে মেইল কর না। ও বাক্য ব্যয় না করে আমাদের দুজনের একটা সেলফি তুলে আমার মেইল এ পাঠিয়ে দিল। বলল “শালা এত বড় হোটেলে থাকিস একটা ভালো ফোন নিতে পারছিস না?” বললাম “শালা কয়েকদিন আগেই মোবাইল হারিয়েছি। এখন বাড়িতে বলতে গেলে পুঁতে রেখে দেবে। ধীরে ধীরে বলতে হবে। “ আরও অনেকক্ষণ ওয়েট করেও দেখলাম মালিনী এলো না। আমার ভেতরে কোনও উশখুশ ভাব না থাকলেও বুঝতে পারলাম যে কুন্তলের ভেতরে উশখুশ ভাবটা বেড়েই চলেছে। সেটা স্বাভাবিক, বরং বলা ভালো সেটা না হলেই আমি আশ্চর্য হতাম, ধরে নিতাম যে ও আমারই মতন একটা কমপ্লেক্স ছাড়া হৃদয়হীন প্রাণী।

রাত এখন দশটা। মালিনী এলো না। কুন্তল উঠে পড়ল। আমরা দুজনেই বুঝতে পেরেছি যে মালিনী আজ আসবে না। কারণটা কারোর অজানা নয়। হোটেলের অনেক জোরাজুরি থাকতে পারে। লোক চক্ষু বলেও তো একটা ব্যাপার আছে না কি! তাছাড়াও আরও একটা ব্যাপার আছে, এরকম অচেনা একটা ছেলের ঘরে এসে নিজের ভাইয়ের সাথে দেখা অনেক মেয়েই হয়ত করতে চাইবে না। না এটা কাঁচা চাল খেলে ফেলেছি। ওদের ব্যক্তিগত কথা কি আর আমার সামনে বলতে পারবে। আর তাছাড়া, ভাবতেই পারে যে আমি ওর ভাইকে এখানে এনে অন্য কোনও কু-মতলব আঁটছি। সে কু-মতলব টা যে কি সেটা তর্ক সাপেক্ষ। কিন্তু কত কিছুই তো হতে পারে। মনের মধ্যে আরও কয়েকটা চিন্তা পাক খাচ্ছে। সকালে আমি যে ভাবে নির্লজ্জের মতন ওকে আমার চোখ দুটো দিয়ে গিলে খাচ্ছিলাম সেটা কি ও বুঝতে পেরেছে? কথায় বলে মেয়েদের শরীরের দিকে খারাপ নজর দিলে মেয়েরা ঠিক বুঝতে পারে। তাহলে মালিনী কি… কিন্তু যদি বুঝতে পারে তাহলে নিজের শাড়ি ঠিক করে অনাবৃত জায়গাগুলোকে ঢেকে নিল না কেন? আমি ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে ছিলাম বলেই কি লজ্জায় নিজের শাড়িটা আমার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক করতে পারেনি? আমি যে ওর শরীরের দিকে নোংরা চোখ দুটো নিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম সেটা যদি ও বুঝতে পারে তাহলে তো আর কথাই নেই। অবশ্য কুন্তলের কথা শুনে যা ধারণা হল তাতে মনে হচ্ছে যে ওর দিদি অনেক দিন ধরেই উপোষী। ওর দিদির যা বয়স তাতে সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ে হলে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার ভালো মতন চোদন না খেলে শারীরিক আর মানসিক হতাশা আসতে বাধ্য। অবশ্য সেক্সলেস হলে সেটা আলাদা ব্যাপার! তবে দেখে তো মনে হয় স্বাভাবিক। এই অল্প বয়সেই আমি যা দেখেছি বা বুঝেছি, বা বলা ভালো আমাকে যা বোঝানো হয়েছে, তাতে এরকম উপোষী মেয়েদের খেলিয়ে তোলা খুব কঠিন কিছু হওয়া উচিৎ নয়। কেউ কেউ একদিনেই পটে যায়, আবার কাউকে কাউকে পটাতে একটু সময় লাগে। কিন্তু এদের পটানো অপেক্ষাকৃত অনেক সোজা। এদের বলতে আমি বিবাহিতা মেয়েদের কথা বলছি। একটু ইমোশানালি খেলতে হয় এদের মন আর শরীর নিয়ে, রেসিপি টা খুব সোজা, ইমোশান, একটু অসভ্যতা, একটু ভালোবাসার উগ্রতা, আর সবসময় একটা যৌন আবেদন কিন্তু সব সময় যৌন মিলন করতে যেও না, ব্যস তাহলেই হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য আরেকটা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক মেয়েই থাকে যারা নিজেদের শরীর দেখিয়ে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে। উপোষী মাগীদের মধ্যে যদি একটা সুপ্ত ছুকছুক বাতিক থাকে তাহলে তারাও সেই সব শরীর দেখিয়ে সুখ পাওয়ার মতন মেয়েদের দলে পড়তে পারে। আর মালিনী নামক মাগীটা যদি সত্যিই খুব বেশী রকম উপোষী হয়ে থাকে তাহলে এটা হতেই পারে যে সব কিছু বুঝে শুনে মাগীটা আমার চোখের সামনে ওর নিজের কাপড় ঠিক করেনি কোনও একটা সুপ্ত ক্ষিদের বশে। আমি যেমন ওর শরীরের অনাবৃত জায়গাগুলো চোখ দিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছিলাম, হতে পারে এই মাগীটাও তেমনি অন্যমনস্কতার ভাব করে ওর শরীরের ওপর আমার চোখ দুটোর অবাধ বিচরণ উপভোগ করছিল ভেতরে ভেতরে। এদিকে আমার বিয়ারও প্রায় শেষ। এইবার আমাকে ডিনারের কথা বলতে হবে। কুন্তল দুঃখী দুঃখী মুখ নিয়ে বেড়িয়ে গেল। আমার অবশ্য খুব একটা কিছু মনে হল না। ল্যাপটপের ব্যাগটা তুলে নিয়ে তার থেকে মোবাইলটা বের করে নিয়ে অন করলাম। হুম কুন্তলের মেইল ঢুকেছে। ছবিটা ফেসবুকে আপলোড করলাম। ক্যাপশন ঃ” কোলকাতায় এসে আমার দ্বিতীয় বন্ধু, কুন্তল। প্রথম ছিল বাবুয়া… বেশ ভালো লাগল...ওকে। আর দ্বিতীয় কুন্তল, বেশ ভালো লাগল। “ ডিনার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে যখন প্রানায়ামে বসেছি হঠাতই দরজায় টোকা। মোবাইল দুটোই দূরে রাখা। বালিশের পাশে শুধু ট্যাঁকঘড়ি। ডিম লাইটে সময় দেখলাম “রাত দেড়টা।” উফফ কেমন যেন দিনে দিনে তপস্বী টাইপের হয়ে যাচ্ছি। এক ঘণ্টার ওপর বজ্রাসনে বসে প্রানায়াম করছি। খেয়ালই নেই। মনটা এখন ভীষণ শান্ত। কিন্তু এই সময় কে আসতে পারে ঘরে। বড় আলোটা জ্বালিয়ে দিলাম। আমার পরনে শুধু একটা তোয়ালে। আলমারি খুলে একটা টি শার্ট আর পায়জামা বের করে পরে নিলাম। এখন আর জাঙ্গিয়া পরার সময় নেই। দরজা খুলে খুব একটা আশ্চর্য হলাম না। এক্সপেক্ট করছিলাম যে ও আসবে। মালিনী। দরজা খুলতেই ও প্রায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে দিল। পেছনে বন্ধ হয়ে গেল দরজা। প্রানায়াম থেকে উঠে সিগারেট খাওয়া আমার স্বভাব বিরুদ্ধ, কিন্তু আজ ধরালাম একটা লম্বা সিগারেট। ও যে বসবে না সেটা আমি জানি। তাই ওকে বসার জন্য অনুরোধ করলাম না। ও ঘরে ঢুকেই একটা লম্বা শ্বাস নিল। দিয়ে শুরু করল।


Collected from: Here

No comments:

Post a Comment